নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসা হাতির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন এক যুবক। দলছুট বুনো হাতির তাড়ায় ওই যুবকের মা আহত হয়েছেন এবং তাদের ঘেরা-বেড়া ও ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে জিডিতে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় এ জিডি করা হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরিকারী চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলার কাশেম আলী মিয়াজী পাড়ার মনজুর আলমের ছেলে রেজাউল করিম (৩২) জানান, শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) ভোররাতে খাবারের সন্ধানে একটি হাতি উত্তর বন বিভাগের চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের বাঁশখাইল্লা পাড়াসহ পুচ্ছালিয়া পাড়া লোকালয়ে এসে পড়ে। সকালের আলো ফোটার পর স্থানীয়রা হাতিটিকে দেখতে পায়।
উৎসুক মানুষও হাতিটির পিছু নেয়। এসময় তাণ্ডব চালায় হাতিটি। হাতিটির তাড়া খেয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয়। এদের মাঝে জিডিকারীর মা মর্তুজা বেগম (৬০) মারাত্মক আহত হন। তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। তিনি এখন সেখানে চিকিৎসাধীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের জানান, হাতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ পুলিশের নেই। তবে এ ক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বন বিভাগকে একটি প্রতিবেদন দেবে পুলিশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করার সুযোগ রয়েছে বন বিভাগের।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় দলছুট হাতিটিকে বনে ফেরাতে সমর্থ হন বনকর্মীরা। কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া হাতিটিকে সন্ধ্যার আগে বন ফেরানো সম্ভব হয়। এসময় কেউ আহত হয়েছেন বা কার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানা যায়নি। তবে, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবার সঠিক প্রমাণ উপস্থাপন সম্ভব হলে বনবিভাগ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে।
পাঠকের মতামত: